বঙ্গোপসাগর লুকিয়ে আছে বিধ্বংসী রহস্য। কী রহস্য জানুন


একের পর এক বিধ্বংসী ঘুর্নিঝড় এর আতুরঘড় বঙ্গোপসাগর। সমুদ্র  জুরে কেন এত তোল পার   weather underground  একটি ওয়েবসাইট বলছেবিশ্বের ৩৫ টি সবথেকে ভয়াভয়  ঘুর্নিঝড়ের মধ্যে ২৬টি ঘূর্ণিঝড় এর
কেন্দ্র বঙ্গোপসাগর। বিশ্ব উষ্ণায়ন ই সমুদ্রের এত রুদ্ররোষ এমনটাই বলছেন বিজ্ঞানীরা
আয়লা,বুলবুল,  সুপার সাইক্লোন আমফান একের পর এক ঘুর্নিঝড় উঠে এসেছে বঙ্গোপসাগর  থেকে।  আরবসাগর  ভারত মহাসাগরের তুলনায়
বঙ্গোপসাগর থেকে বেশী ঝড় ধেয়ে আসে ভারত ও বাংলাদেশের  স্থলভাগে।
বিশ্বের ইতিহাসে প্রতি ১০ টি বিধ্বংসী ঘুর্নিঝড়ের মধ্যে ৮ টি সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে।

নথিবদ্ধ ইতিহাসে ৩৬ টি ভয়াভয় ঘুর্নিঝড়ের মধ্যে ২৬ টির জন্ম হয়েছে  বঙ্গোপসাগরে।
ভূতাত্ত্বিক দের মত,  বঙ্গোপসাগর এর ত্রিভুজ  আকৃতি ও অগভির তলদেশ ঘূর্ণিঝড় তৈরির প্রধান কারন।


বঙ্গোপসাগর এর  জলতলের তাপমাত্রা  ও আর্দ্রতা ঘুর্নিঝড় তৈরির আদর্শ । সারাবছর  বঙ্গোপসাগরের জলতলের তাপমাত্রা  থাকে ২৮ ডিগ্রি।



  • বিশ্ব উষ্ণায়ন ই কী বেশী ঝড় এর কারন ?

বিশেষজ্ঞ দের মতে বিশ্ব উষ্ণায়ন ই বঙ্গোপসাগরের বুকে ঘূর্ণিঝড় তৈরির ক্ষেত্র আরো উর্বর করছে । মে মাসের প্রথম দু সপ্তাহের বঙ্গোপসাগর এর কিছু অংশের তাপমাত্রা চমকে দিয়েছিল পুনের Indian Institute of Tropical Meteorology বিজ্ঞানীদের, জলের তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি  সেলসিয়াস এর উপর উঠলেই ঘূর্ণিঝড় তৈরির  অনুকূল  পরিবেশে তৈরি হয়।

মে মাসে দেখাগিয়েছে বঙ্গোপসাগর একাধিক জায়গার জলের উষ্ণতা  ৩২ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে  উঠানামা করছিল।

১৯৭৯  - ২০১৭  পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়  বিশ্লেষণ  করে  American National Science  Academy  পত্রিকায় আবাহওয়া বিজ্ঞানীদের একটি  গবেষনা পত্র বলছে   ,  সাগরের জলের উষ্ণতা বাড়ার সঙ্গে সামূদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের শক্তিবৃদ্ধির সম্পর্ক রয়েছে,   উষ্ণায়ন ঘূর্ণিঝড় কে প্রভাবিত করে।

বিশেষজ্ঞরা  বলছেন,  সাগরের জলের তাপমাত্রা বেশী থাকলে বাষ্পায়ন বেড়ে
যায়।  তা শুষে ঘূর্ণিঝড়  প্রচুর শক্তি সঞ্চয় করে ।


  • বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় :

২০১৭ সালে ৩ টি   ঘূর্ণিঝড়

২০১৮  সালে ৪ টি  ঘূর্ণিঝড়

২০১৯   সালে  ৩ টি  ঘূর্ণিঝড়

 ১০ টির মধ্যে ৭ টি ঘূর্ণিঝড় প্রবল আকার ধারন করছে ।


সমুদ্র বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন অস্বাভাবিক  উষ্ণতাই ঘূর্ণিঝড়  আমফান কে প্রবল শক্তিশালী করেছিল।

বিজ্ঞানীদের সাবধান বানী,   বিশ্ব উষ্ণায়নকে নিয়ন্ত্রনে না আনতে পারলে , সাগরের জল আরো গরম হয়ে উঠবে ।  আর বঙ্গোপসাগর উষ্ণ হয়ে উঠলে  সামনের দিনে বেশী  স্যংখক মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে।


সূত্র : নিউজ ১৮ বাংলা

Post a Comment

0 Comments